কাজু বাদাম ১ কেজি

কাজুবাদাম :

কাজুবাদাম বাংলায় কাজু বাদাম নামেও পরিচিত। এই কাজু এসেছে ভারত, ভিয়েতনাম থেকে। আমরা জানি যে ভারত তাজা এবং শুকনো ফলের পার্থক্যের প্রধান উত্স। কিছু দিন আগে, আমি আরেকটি জায়গা খুঁজে পেয়েছি যেখানে শুকনো ফলগুলি খুব খাঁটি এবং তাজা, এটি থাইল্যান্ড। তাই, আমি থাইল্যান্ড থেকে তাজা শুকনো নিয়ে এসেছি।

মিষ্টি খাবার ও মশলাদার খাবারের স্বাদ বাড়াতে এটি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা হয়। এর ব্যবহার শুধু খাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং এটি শরীরের অনেক সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে পারে। আপনাদের উপকারিতাগুলো বলি-

কাজু বাদামের উপকারিতা

1. শক্তির উৎস:

এটি শক্তির একটি ভাল উত্স হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না তবে এটি বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। আপনার মেজাজ অকারণে খারাপ হলে 2-3টি কাজু খাওয়া আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

2. প্রোটিন সংগ্রহ:

কাজু প্রোটিনের পরিমাণ বেশি তাই তাদের সাথে খেলে চুল এবং ত্বককে সুন্দর করে তোলে (সৌন্দর্যের চিকিত্সার জন্য)

3. আয়রনের উৎস:

কাজু কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। এতে প্রোটিন বেশি থাকে এবং সহজে হজম হয়। কাজুকে আয়রনের ভালো উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাই আপনি রক্তশূন্যতা দূর করতে এটি খেতে পারেন।

4. ত্বক উজ্জ্বল:

এটি খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং ত্বকেরও উন্নতি ঘটে। এটি প্রায়শই সৌন্দর্য বাড়াতে ঘরোয়া প্রতিকারে ব্যবহৃত হয়।

5. তীক্ষ্ণ মেমরি করুন:

কাজুবাদাম মধুর সাথে খালি পেটে খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। কাজু বাদাম খেলে ইউরিক অ্যাসিডের উৎপাদন বন্ধ হয় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

6. শক্ত হাড় তৈরি করুন:

কাজুতে প্রোটিন বেশি থাকে যা হাড়কে শক্তিশালী করে তোলে।

7. নিরাপদ হার্ট:

এতে উপস্থিত মনস্যাচুরেটেড ফ্যাট হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

৮. ডায়েটে হেপল:

এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলি হজম ব্যবস্থা শক্তিশালী রাখে এবং ওজনকে ভারসাম্য বজায় রাখে।

9. ক্যান্সার প্রতিরোধ:

কাজুবাদাম ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বাদামে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি টিউমার দেখা দেওয়া থেকে বিরত রাখে। আর তাই সুস্থ থাকতে প্রতিদিন কাজুবাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন।